ফলশ্রুতি -
১. সেন রাজবংশের সময় দেশে ধর্মের প্রতি কুসংস্কার এবং অযৌক্তিক নিয়ম দেখা যেত । কৌলিন্য প্রথা, অস্পৃশ্যতা। এই সব তথাকথিত উচ্চবর্ণীয় অভিজাতেরা নিয়ম বানিয়ে রাখতো। নিম্নবর্ণের মানুষদের সাথে অন্যায় অবিচারের শেষ ছিল না,সব দিক থেকে রাস্তা বন্ধ। শিক্ষা, শাস্ত্র, সাহিত্য এই সবকিছু ছিল উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ দের জন্য। নিম্নবর্ণের মানুষদের অবহেলা সীমার বাঁধ ভেঙে দিয়েছিল। তাই দলে দলে তারা ইসলাম ধর্মের পথে এগোচ্ছিল। বাংলায় চলছে অরাজকতা তার মধ্যে এক সম্প্রদায়ের মধ্যে আরো বিভেদ চলতে থাকলে ভয়ানক দুর্দিন থামতো না আর আসতো না তাই উভয়শ্রেণি হৃদয়বন্ধন তৈরি হলো। আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হলো বিভেদ বিচ্ছেদ অস্পৃশ্যতা ভুলে।
২. নবীন প্রবীণ দের মধ্যে সংস্কৃতিগত দুস্তর স্তরভেদ দ্রুতগতি বিলুপ্ত হয়ে গেছিল। সৃষ্টি হল ঐক্য বাঙালি জাতি।
৩. দুই স্বতন্ত্র সভ্যতা পরস্পরের সংস্পর্শে আসে, হিন্দু মুসলিম পরিবারের প্রথার অনুপ্রবেশ ঘটে। এমন কি স্থাপত্যরীতি গ্রহন করা হয়।
৪. সমাজে নগরায়নের সূত্রপাত ঘটে। রাজ্য শাসন ব্যবস্থা দৃঢ় হয়।
৫. নবদেবতার, কুলদেবতা, শাস্ত্রীয়, লোকদেবতাদের উদ্ভব ঘটে , তাঁদের মাহাত্ম্য চারিদিকে বিস্তারিত হয়।
৬. ভাষার উপর দারুণ প্রভাব পড়ে এই আক্রমণের। বাংলা ভাষার সঙ্গে ফারসী ভাষার ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মেলে।
৭. লোক সাহিত্যের চর্চা শুরু হয়। ধর্মের কাহিনী, মনসা - চন্ডী, রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণলীলা ইত্যাদি রাজসভায়, লোকসভায় অনুশীলিত হতে থাকলো।
এই আক্রমণের ফলস্বরূপ যা হলো তাতে বোঝা যায় যে পুরোটাই শাপে বর। তুর্কি আক্রমণের আগে আমরা সমাজের এক ছবি পেয়েছি, পরে অন্য এক ছবি। আক্রমণের ফলে তখন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক অবস্থা নিদারুন পরিবর্তন হলো।
এরকম আরো বিষয় জানতে যুক্ত হন আমাদের WhatsApp কমিউনিটিতে (এখানে ক্লিক করুন)