গাছ প্রাণীকুলের একমাত্র প্রাণবায়ুর (অক্সিজেনের) আধার, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমরা ক'জন জানি একটি পরিনত গাছ প্রতিদিন গড়ে ৪০০ প্রাণীর অক্সিজেন যোগায়!
গাছ আসলে জলের আধার,বৃষ্টি আনতেও তার জুড়ি নেই,তাই একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছ প্রকৃত অর্থেই "রেইন-ট্রি" তার সবচেয়ে বড়ো কাজ, বাতাসে ভাসমান দূষিত ধূলোকনা সহ কার্বনডাইঅক্সাইড শোষণ করে পরিবেশকে বিশুদ্ধ ও নির্মল করে রাখা। গাছের পাতা, যাকে আমরা গাছের রান্নাঘর বলেও জানি, তারা কিন্তু জলধারণকারী, তাই উষ্ণতার তারতম্য বোঝা যায় একটি বড়ো গাছের তলায় দাঁড়ালে।
যে কারণে শীত এবং গরমে উষ্ণতার ফারাক সহজেই বোঝা যায় বড়ো গাছ বিহীন তথাকথিত সুসভ্য আধুনিক শহরে এবং সবুজ প্রান্তর ঘেরা অবশিষ্ট গ্রামবাংলার প্রতিটি কোনে কোনে। অরণ্য বিহীন সভ্যতা আসলে সোনার পাথর বাটি।এই চরম সত্যিটা বুঝেও বুঝতে চায় না, দেশ তথা সমগ্র বিশ্বের নিয়ন্ত্রকরা। কর্পোরেট প্রভুদের লোভ লালসা আর আগ্রাসনের প্রভাবে গোটা বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ আজকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে দ্রুত। যদি প্রজন্মের সুস্থতার কথা আমরা সবাই মিলে না ভাবি, যদি প্রকৃত অর্থে তাদের ভালো না বাসি, তবে ভাবি কাল কিন্তু আমাদের ক্ষমা করবে না কোনোদিন-ই। তাই আসুন না, আমরা সমবেত ভাবে অন্তত, আমাদের নিজেদের এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে সচেষ্ট হই। পরিশেষে ঠাকুর কবির ভাষায় বলি - "দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর"।