শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী - যার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে হাজার বিতর্ক!

 "জয় জওয়ান, জয় কিষাণ"- যেই স্লোগান একসময় মন্ত্রের মতন কাজ করেছিল গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে - সেই স্লোগানের প্রবক্তা শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু ঘিরে রয়েছে অসংখ্য রহস্য। শ্রী জহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর ১৯৬৪ সালের ১১ই জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। বহুদিন ধরেই রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী।

গান্ধীজীর জন্মের ৩৫ বছর পরে, একই দিনে জন্ম নেন শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তাঁর জীবনসংগ্রাম শুরু হয় অনেক ছোট থেকেই। শোনা যায় তিনি গঙ্গা পেরিয়ে স্কুলে যেতেন। ছোটবেলা থেকেই তার মনে ছিল দেশমাতৃকার প্রতি ভালোবাসা। তাই মাত্র ১১ বছর বয়সে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। 

ভারতের এক মাত্র প্রধানমন্ত্রী যার মৃত্যু হয় অন্য দেশে।  ১১ই জানুয়ারী ১৯৬৬ সালে বিদেশের মাটিতে নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। যার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে হাজার বিতর্ক। সরকার ঘোষণা করেছিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু - কিন্তু অনুগামীরা বলেন পরিকল্পিত হত্যা ! 

যে রাতে শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী মারা যান সেখানে দুজন সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন। একজন ড: আর এন চুঘ (Doctor RN Chugh)- তিনি পার্লামেন্টে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে মারা যান দ্বিতীয় সাক্ষী ছিলেন ভৃত্য রামনাথ। তিনিও অদ্ভূত ভাবে এক গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। সেই দুর্ঘটনায় তার একটা পা কেটে বাদ দিতে হয়। তারপর তার সমস্ত স্মৃতিশক্তি লোপ পায় এবং তিনি কিছুই স্মরণ করতে পারেন না। এই দুই ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুরহস্যের জট আরও বাড়িয়ে দেয়। 

পরবর্তীতে "CIA's eye on south Asia" বইয়ের লেখক শ্রী অনুজ ধর RTI এর মাধ্যমে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু সম্বন্ধীয় তথ্য প্রমানের প্রতিলিপি চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে তা দেওয়া হয়নি। তাকে PMO থেকে জানানো হয় যে শুধু একটাই ডকুমেন্ট তাদের কাছে আছে যা তারা প্রকাশ করতে পারবে না কারণ তাতে বৈদেশিক সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। অনুগামী ও পরিবার পরিজন এও সন্দেহ করেন যে তাকে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে - এই সন্দেহ থাকলেও তাঁর পোস্টমর্টেম করতে দেওয়া হয়নি।

কিন্তু কেন? শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তিনি তাসখণ্ডে গিয়েছিলেন। সেখানে কী এমন হয়েছিল যা আজও আমাদের অজানা? 

নবীনতর পূর্বতন